আজ ৮ এপ্রিল ২০২৫ “কারিগরি ছাত্র আন্দোলন,বাংলাদেশ ” ঢাকাস্থ সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর সকল প্রকার ফরম ফিলাপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য স্মারক প্রদান করেছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ” এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সারা বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্মিলিতভাবে ফরম ফিলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ” কর্তৃক উত্থাপিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সকল প্রকার ফরম ফিলাপ কার্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যে ছয় দফা দাবী করা হয়েছে তা নিম্নরূপ:
১। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃর্ক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবতর্ন ও মামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
২। ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল সহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে।
৩। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) এর পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও, যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪। কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সকল শুন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
৫। কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরাবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরীতে ” কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়” নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
৬। পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মানাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) এ পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি জনাব জুবায়ের পাটোয়ারী এবং মো: মাসফিক ইসলাম।
স্মারকলিপিতে সমগ্র বিষয়াদি বিবেচনা করে এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সকল প্রকার ফরম ফিলাপ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।